তুলে নিতে জীবনামৃত
বহুদিন হলো, গনগনে তাপদাহে বসে আছি-
চিন্তাক্লিষ্ট গালে হাত দিয়ে, সেই কবে থেকে;
কখনও প্রাণান্তকর বিফল প্রয়াসে
শুয়ে আছি কণ্টক শয্যায় ঘুমহীন ক্লান্ত দুটি চোখ
আপন বলয়ে একা পায়চারি করি
সান্ত্বনার ভরসার কণ্ঠস্বর খুঁজি
একটি গানের কোনও সুধাঝরা সুরে
অথবা দুর্লভ কোনও কবিতার শাশ্বত চরণে;
বহুদিন হলো, সেই কবে থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা –
পরমাগ্রহে বিশ্বাসে ভরসায় করে চলেছি মন্থন
নিবিড় নিমের থেকে তুলে নিতে জীবনামৃত
কৃষ্ণগহ্বরের দুঃসহ অন্ধকারে হাত পেতে আছি
আমার বিশ্বস্ত হাত আমি জানি,প্রার্থিত নক্ষত্রকে
সুনিশ্চিত খুঁজে পাবে পরম মাহেন্দ্র কোনও ক্ষণে।