তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ-প্রকৃতির ও পরিবেশের রাক্ষায় পরিবেশবাদী জাতীয় সংগঠন ‘মুভমেন্ট ফর নেচার’ আত্মপ্রকাশ করছে। তরুণ সংগঠক ও গণমাধ্যমকর্মী এম আর লিটনকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যরা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন আকন্দ, মো. মানিক, সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সজিব উদ্দীন, শুভ চন্দ্র শীল, কানিজ ফাতিমা ।
সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুভমেন্ট ফর নেচারের প্রধান লক্ষ্য হলো প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণ করা। পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও মানুষের জীবনের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশগত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাদের সমাধান করার মাধ্যমে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো জল, মাটি, বন ও বায়ুর মতো প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করার জন্য সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং আন্দোলন পরিচালনা। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রচার এবং টেকসই কৃষি, শিল্প ও নগরায়ণের মাধ্যমে প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করা। পরিবেশবিষয়ক শিক্ষা ও সচেতনতার প্রসার ঘটিয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরে পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরি করা। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে পরিবেশ সংরক্ষণের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে একটি শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম প্রতিরোধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি ও প্রয়োগে সহায়তা করা। স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করা এবং সংহতি প্রকাশ করা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই আন্দোলন পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমান প্রজন্ম থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে মুভমেন্ট ফর নেচার কাজ করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুভমেন্ট ফর নেচার আগামী ৬ মাসে মধ্যে জেলা, উপজেলা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সদস্য সংগ্রহ ও কমিটি গঠন করবে। পরে ওই সদস্যদের নিয়ে জলবায়ু সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করবে।