ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চলছে দাবদাহ। সেখানে কোথাও কোথাও দিনের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করছে বাংলাদেশ জুড়েও। যদিও বাংলাদেশে এখনও তাপমাত্রার পারদ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে আরও খানিকটা দূরে। তাতেই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
সে তুলনায় পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ অন্য দেশগুলো কিছুটা স্বস্তিতেই রয়েছে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর ও দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ভারতের বেশিরভাগ স্থানের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শনিবার (২০ এপ্রিল) উড়িষ্যার বারিপদার তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশে শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে যশোরে। এটিই চলতি মৌসুমে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে ভারতের পানাগড় রাজ্যের ১৮টি জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। শুক্রবার কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওইদিন পানাগড়ের দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার ঝাড়খন্ডের ডালটনগঞ্জে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে ছুটির বিকল্প হিসেবে বদলে দেওয়া হয়েছে স্কুলের সময়। এদিন ছত্তিষগড়ের রাজনন্দাগাঁওতে তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে শনিবার বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। এছাড়া ৯টি অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পার হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন পাবনা (৪২), যশোর (৪২.৬) ও চুয়াডাঙ্গায় (৪২.৪) অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল।
রাজশাহী জেলা, খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।