কারও হাতে বনসাই, কারও হাতে নতুন জাতের ফুল-ফল গাছের চারা। সবাই শহুরের আধুনিক কৃষানী। কেউ নিজের ছাদ বাগানের জন্য পছন্দের গাছ কিনতে এসেছেন, আবার কেউ বিক্রি করতে এসেছেন তার সংগ্রহে থাকা বাড়তি গাছের চারা। এভাবে জমে ওঠেছে ঢাকার রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় নগর কৃষি মেলা।
ছয় দিন ব্যাপী এই মেলার আয়োজন করেছে নগর কৃষি ফাউন্ডেশন। ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া কৃষি মেলা শেষ হয়েছে ১৯ ডিসেম্বর।
মেলায় ঘুরতে এসেছেন সৌখিন কৃষানী জাহানারা আহমেদ রোজি। মিরপুর-৭ নম্বরে তার ছাদ বাগান রয়েছে। রোজি জানান, মেলায় এসে অন্য শহুরে কৃষাণীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ পাচ্ছেন। পছন্দের কিছু গাছও সংগ্রহ করেছেন।
নগর কৃষি মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসিম উদ্দিন সরকার জানান, গত বছরও নগর কৃষি মেলায় অংশ নিয়েছি। এবার মেলা থেকে ব্যতিক্রমী কিছু ফুলের গাছ সংগ্রহ করেছি।
মেলায় ‘পলির বৃক্ষ পল্লী’ নামে স্টল দিয়েছে সৌখিন কৃষাণী নুসরাত পলি। রাজধানীর ধানমন্ডি সংকরে তার ছাদ বাগান রয়েছে। পলির স্টলে ফুল, সবজি ও বনসাইয়ের প্রায় ৫০টির বেশি আইটেম রয়েছে। তিনি বলেন, শখের বসেই ছাদ বাগান করেছি। মেলায় অংশ নিয়েছি অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য। তবে ক্রেতাদের ভালোই সাড়া পেয়েছি।
আয়োজকেরা জানিয়েছে, নগর কৃষি মেলায় ব্যক্তি উদ্যোক্তার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক নার্সারী ও ব্র্যাক ডেইরী প্রোডাক্ট, ইস্পাহানি এগ্রো, বিএডিসি, এগ্রোটেক জৈব সার, প্রিয়জন মাশরুম ফাউন্ডেশন স্টল দিয়েছে।
আয়োজক সংগঠক নগর কৃষি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নগর কৃষক প্রকৌশলী মো. গোলাম হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষির নানা আঙ্গিনার মানুষ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন। ছয় দিনের মেলায় ১০টি সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে মেলার পরিসর আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।