চট্টগ্রাম প্রতিবেদক
নগরীর পাহাড়তলী-চাক্তাই চালপট্টি ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। চাক্তাই চালপট্টিতে পাইকারি বাজারে মোটা সিদ্ধ চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ৩০০ টাকা বেড়ে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা। একইভাবে প্রতি বস্তায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে মানভেদে মিনিকেট আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। দিনাজপুরী পাইজাম ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা; যা আগে ছিল ৩ হাজার টাকার কাছাকাছি। কাটারিভোগ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকার বেশি দামে।
স্বর্ণা সিদ্ধ চাল প্রতি বস্তা ৩ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; যা আগে ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা। নাজিরশাইল সিদ্ধ ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে; যা আগে ছিল ৩ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা। পাইজাম সিদ্ধ ৩ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; যা আগে ছিল ৩ হাজার ৬০০ টাকা। চিনিগুঁড়া চাল ৫৮০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে চিকন নাজিরশাইল চাল ৮০ থেকে ৮২ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারি মানের বিআর ২৮ ও ২৯ নম্বর চাল ৬৭ থেকে ৭০ টাকা এবং গুটি, স্বর্ণা, চায়না ইরিসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকা, যা আগে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কম ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জাতীয় এক দৈনিকের সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাতে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। শুল্ক কমানোর পর এর সুবিধা একটি পক্ষ নিয়ে নিচ্ছে, ভোক্তারা পাচ্ছেন না। সরকারের নজরদারিতে ঘাটতি রয়েছে, তদারকি আরও বাড়াতে হবে। সরকার এখন শুধু খুচরা পর্যায়ে তদারকি করছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য উৎপাদক, করপোরেট, মিল, পাইকারি ও খুচরা সব স্তরেই তদারকি করতে হবে, যা হচ্ছে না।
চাক্তাই চালের আড়তদার সাইফুল ইসলাম জানান, চালের দাম বাড়ান মিলাররা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মোকাম থেকে চাল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন তারা। গত ১৫ দিনে মোটা চিকন সব ধরনের চালে কেজিতে চার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। চাল আমদানি হয়েছে শুনেছি; কিন্তু বাজারে এখনো আসেনি। মনে হয় না তেমন কোনো লাভ হবে।

